ঢাকা প্রতিনিধিঃ
আমের বাণিজ্যিক রাজধানী নওগাঁ জেলার
সাপাহার উপজেলা জেলার সবচেয়ে বড় আম বাজার সাপাহার। সাপাহারে ইতোমধ্যে শুরু পরিপক্ষ আম কেনাবেচা, চলছে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
ভ্যান, সিএনজি, অটোরিক্সা, ট্রলি সহ বিভিন্ন যানবাহন ভর্তি আম নিয়ে বাজারে আসছেন বাগান চাষিরা
২৮মে থেকে ভালো জাতের আম গোপালভোগ বাজারে আসতে শুরু করছে, আজ দুপুরে সাপাহার আমবাজারে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে সাপাহার-নজিপুর সড়কের পাশে ভ্যান ভর্তি আম নিয়ে বিক্রির জন্য অপেক্ষা করছেন আম বিক্রেতারা।
বাজারে আম বিক্রি করতে আসা আম মালিকরা জানান, পাইকাররা আমের দাম লাগাচ্ছে ১০০০ থেকে সর্বোচ্চ ১৬০০ টাকা মন। এমনিতে অন্যান্য বছরের তুলনায় প্রচন্ড খরা মৌসুম গেছে সারাবছর বাগানের পরিচর্যা করতে গিয়ে বাগানে সেচও দেওয়া হয়েছে অনেকবার সার বিষ করে যে পরিমান খরচ হয়েছে তাতে করে এবার লোকশানে থাকতে হবে। এবার আমের দাম আশানুরূপ নয়, আড়তে আমের ধলতা নিচ্ছে বেশি। গত বছর এ সময়ে গোপালভোগ আম ১ হাজার ৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছিল। সেই তুলনায় এবার দাম কম।
সাপাহার আমবাজার আড়ৎদার সমিতির সভাপতি কার্তিক সাহা বলেন, এবার তাঁদের বাজারে ২৩০টি আড়ত বসেছে। এখন প্রতিদিন ৪০০-৫০০ মণ আম উঠছে। তবে ল্যাংড়া, আম্রপালি আম এলে প্রতিদিন ২০-৩০ হাজার মণ আম বাজারে উঠবে। তখন তাঁদের দম ফেলার সময় থাকবে না।
এবার জেলায় প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী, এ মৌসুমে ২২ মে গুটি জাতের আম, ২৮ মে থেকে গোপালভোগ, ২ জুন ক্ষীরশাপাত/হিমসাগর, ৭ জুন নাগ ফজলি, ১০ জুন ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙা, ২০ জুন ফজলি, ২২ জুন আম্রপালি ও ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা, বারি আম-৪, গৌড়মতি ও কাটিনা আম বাজারজাত করা যাবে।
সাপাহার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা জানান, দেশের মধ্যে এবার নওগাঁয় সবচেয়ে বেশি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এবার আমের মৌসুমে ঝড়ঝাপটা কম হয়েছে। রোগবালাইও কম। আশা করা হচ্ছে, লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এবার সাপাহার উপজেলায় প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার আম বাণিজ্য হবে।

❝আমার সাইটে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো রুচিশীল মন্তব্য ব্যাবহার করুন ❞🙂