ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২ নং আখানগর ইউনিয়নে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একই পরিবারের ছয়জন আহত হয়েছে এদের মধ্যে গুরুতর আহত চারজন৷
১৭ জনু (শনিবার) দুপুরে রুহিয়া থানার আখানগর (তালতলি) গ্রামে জমির জেরে দুই পরিবারের মধ্যে এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জায়গা সম্পত্তি সংক্রান্ত ঝামেলার জের ধরে শনিবার দুপুরে
তারক চন্দ্র, রাতিয়া চন্দ্র, মলিন চন্দ্র দলবল নিয়ে বিরেন শর্মা, ধিরেন শর্মা ও সিরেন শর্মার খরিঘর ভাংচুর করে দখল করতে যায়।
তারক চন্দ্রের দলবল পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে সেখানে মারপিটের উদ্দেশে লাঠি লুকিয়ে রাখে। সিরেন শর্মা তার ভাই সহ তারা বাধা প্রদান করতে গেলে তারক চন্দ্র ও তার দলবল তাদের উপর মারপিট শুরু করে।
এতে সিরেন শর্মা সহ ছয় জন গুরুতর আহত অবস্থায় ঠাকুরগাঁও ২৫০ বিশিষ্ট জেনারেল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
সিরেন শর্মা জানায়, ১২ শতক জমিটি আমাদের ক্রয়কৃত, জমি মালিক আমাদেরকে সেখানে ভোগ দখল দিয়েছে। তারক চন্দ্র পক্ষ আমাদের হয়রানি করার জন্য জমিটির একটি মামলা দায়ের করে যার রায় আমরাই পেয়েছি। কিন্তু গত শনিবারে আগের পরিকল্পিত ভাবে লাঠি সোটা নিয়ে সেই জমি জোর পূর্বক দখল করতে গেলে আমি সহ আমার পরিবারের লোকজন বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে সহ আমার পরিবারের উপরে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। এতে আমি সহ আমার পরিবারের লোকজন গুরুতর আহত হই এবং পর্বতীতে স্থানীয় লোকজন ও রহিয়া থানা পুলিশ আমাদের কে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত তারক চন্দ্রর সাথে মুঠো ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেনি।
এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রোমান বাদশা জানান,বিষয়টি আমি শুনছি কিন্তু এখনো পযর্ন্ত কেউ আমাকে জানায়নি।
এই বিষয়ে রুহিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা জানান. খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

❝আমার সাইটে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো রুচিশীল মন্তব্য ব্যাবহার করুন ❞🙂